,

শেখ সেলিমকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় গোপালগঞ্জবাসী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে টানা ৮ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুলুল করিম সেলিমকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান নির্বাচনী এলাকার জনগণ।

আধুনিক গোপালগঞ্জের রূপকার শেখ সেলিম মন্ত্রী হলে জেলায় শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠবে। বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আরো আধুনিক ও সমৃদ্ধ হবে গোপালগঞ্জ শহর ও আশপাশের এলাকা এমনটা মনে করেন তার নির্বাচনী এলাকার সাধারন মানুষ।

এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করার পর মেয়াদের শেষ দিকে শেখ সেলিম স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনি তার দায়িত্বকালে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালসহ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেন। ওই সময়ে এলাকার বেকার যুবকদের বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারী চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

এলাকায় নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে গ্রাম ও ইউনিয়নের সাথে জেলা হেডকোয়ার্টারের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে কার্পেটিং সড়ক নির্মাণসহ যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রভৃতি উন্নয়ন করেন। এছাড়া হিসেবে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে দেশে ও বিদেশে প্রশংসিত হন।

ঘোষেরচর এলাকার যুবক কাজী নাহিদ উজ্জামান বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে শেখ সেলিমের হাত দিয়ে এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের নেতা শেখ সেলিম গোপালগঞ্জে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি মন্ত্রী হতে পারলে নিশ্চয় তার এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হবেন। তাই শেখ সেলিমকে আমরা মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।’

গোপালগঞ্জ শহরের বাসিন্দা আরজিনা বেগম বলেন, ‘শেখ সেলিম বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র পার্লামেন্টেরিয়ান। তিনি টানা আটবার সংসদ সদস্য হিসাবে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন বিপুল ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মন্ত্রী হলে আমাদের নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এলাকার তরুন ভোটারদের দাবি শেখ সেলিম পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় আসীন করা হোক।’

মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শেখ সেলিম আমাদের নেতা। তিনি বিগত ১৯৮০ সালে আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি গোপালগঞ্জের মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন। তিনি মন্ত্রী সভায় স্থান পাবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

এই বিভাগের আরও খবর